ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার করার উপায় - Journalist Md. Saiful Islam (SaifulJournalist)

Breaking

Journalist Md. Saiful Islam (SaifulJournalist)

Md. Saiful Islam is a Bangladeshi Newspaper's Journalist who is working as a Output Editor in Daily Eai Amar Desh Newspaper.

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, April 8, 2020

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার করার উপায়

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার করার উপায়

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার করার উপায়

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার করার উপায়

বর্তমান আমাদের শারীরিক সমস্যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হচ্ছে ইউরিন ইনফেকশন। এটি নারী পুরুষ উভয়ের হয়ে থাকে। তবে প্রতি দুই জন নারীর মাঝে একজনকে পাওয়া যায় যার ইউরিন ইনফেকশন আছে।
মানুষের শরীরের ২টি কিডনি, ২টি ইউরেটার, ১টি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) এবং ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত।
আর এই রেচনন্ত্রের যেকোনো অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’ বলা হয়। কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি বা একাধিক অংশে একসঙ্গে এই ধরণের সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণকেই সংক্ষেপে ইউরিন ইনফেকশন বলা হয়।
সাধারণত এই সমস্যাটি মহিলা ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও মহিলাদের ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
ইউরিন ইনফেকশন ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ:

১।  প্রস্রাবে দুর্গন্ধ।
২।  প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া।
৩।  প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা করা।
৪।  একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলেও ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া।
৫।  তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা করা।
৬।  বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৮।  সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন জ্বর আসা।

ইউরিন ইনফেকশন থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়:

কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার আছে যেগুলি ঠিক মতো মেনে চললে ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক ইউরিন ইনফেকশনের প্রতিকারে কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
১) ভিটামিন সি
ইউরিন ইনফেকশন হলে অনেক চিকিৎসকই রোগীদেরকে দৈনিক ৫০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভিটামিন সি মুত্রথলীকে ভালো রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
২) প্রচুর পরিমানে পানি পান করা
ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। বিশেষ করে প্রসাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। আর যাদের প্রায়ই এই সমস্যা হয় তারা সব সময়েই একটু বেশি পানি পান করার অভ্যাস করবেন। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে বার বার পানি পান করুন।
৩) আনারস
আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী এঞ্জাইম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান।
৪) বেকিং সোডা
ইউরিন ইনফেকশনে দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যে সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বেকিং সোডা দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন প্রতিকার করতে সাহায্য করে। আধা চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে দিনে একবার পান করুন। এতে প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
৫) প্রস্রাব আটকে না রাখা
বাড়ির বাইরে অনেকেই মূত্রত্যাগ করতে চান না। এই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখা হতে পারে ইউরিন ইনফেকশনের কারণ। প্রস্রাব যদি মূত্রাশয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়, তাহলে তাতে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রতি ২০ মিনিটে মূত্রস্থিত ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর বেশি সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া মানে বেশি ব্যথা। তাই নিঃসন্দেহে সেরা উপায় হলো প্রচুর পানি পান করা এবং মূত্রত্যাগের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়া।
৬) গরম পানিতে গোসল
ইউরিনারি ইনফেকশনের ফলে সৃষ্ট ব্যথা উপশমে কুসুম গরম পানিতে গোসল অনেকের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
ইউরিন ইনফেকশনের বা প্রসাবে সংক্রমনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অবহেলা নয়। চিকিৎসা নিন। খুব অল্প দিনের চিকিৎসাতেই আপনার প্রসাব সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here